ঢাকা: যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অস্ত্র ও মাদক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি পিছিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) পৃথক আদালতে দুই মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল।
জামিনে থাকা সম্রাট এদিন আদালতে হাজিরা দেন। এরপর তার আইনজীবী আফরোজা শাহনাজ পারভীন হিরা চার্জ শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন।
সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় এবং সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার মাদক মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ৮ অক্টোবর নির্ধারণ করেন।
এ দুটি মামলায় ২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অভিযোগপত্র দাখিলের পর তা বদলি হয়ে মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসে। ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মামলা দুটি বিচারের জন্য এ দুটি আদালতে বদলির আদেশ দেন ঢাকার তৎকালীন মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০২৩
কেআই/আরবি