ঢাকা: সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের দায়ের করা মানহানির মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল আলম, প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ও প্রতিবেদক জসীম চৌধুরী সবুজ।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, একটি হয়রানিমূলক মামলায় দীর্ঘ ১২ বছর আদালতের বারান্দায় ঘুরেছি। যুগান্তর বাদীর প্রতিবাদ লিপি ছাপার পরও একজন জনপ্রতিনিধির কাছ থেকে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাশা করা যায় না।
মামলার বাদী তার মামলার আরজিতে উল্লেখ করেন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ২০১১ সালের ২৪ আগস্ট ‘অভিজ্ঞতা অর্জনের নামে নৌ মন্ত্রীর কোটি কোটি টাকা অপচয়, ১৪ বার বিদেশ সফর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি লিখেন জসিম চৌধুরী সবুজ।
পরদিন ২৫ আগস্ট যুগান্তর পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ‘নৌ-খাতে অহেতুক অপচয়’ শিরোনামে সম্পাদকীয় কলাম লেখা হয়। যেখানে বলা হয়েছে শাজাহান খান অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ১৪ বার বিদেশ সফর করেছেন। এই তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য বলে দাবি করেন শাজাহান খান। তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন মন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার পর ছয়বার বিদেশ সফর করেছেন। অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য একবার বিদেশ সফর করেছেন।
তিনি মামলায় আরও উল্লেখ করেন, যুগান্তর পত্রিকায় এ বিষয়ে প্রতিবাদ পাঠালেও যুগান্তর কর্তৃপক্ষ ভেতরের পাতায় তা নামমাত্র ছাপিয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে পাঠকসহ বাদীর নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও দেশবাসীর কাছে বাদী ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।
যুগান্তর প্রকাশক অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, সম্পাদক সাইফুল আলম ও রিপোর্টার জসিম চৌধুরী সবুজ পরস্পর যোগসাজশে বাদীকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, মানহানিকর, সুনাম ক্ষুণ্নকারী সংবাদ ও সম্পাদকীয় কলাম ছেপেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদে বাদী শাজাহান খানের ১০ কোটি টাকা সমমূল্যের মানহানি হয়েছে মর্মে মামলার আরজিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৩
কেআই/আরএইচ