ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুই মাসে ঢাকায় ২৭১ বিএনপি নেতাকর্মীর দণ্ড: আইনজীবী ফোরাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
দুই মাসে ঢাকায় ২৭১ বিএনপি নেতাকর্মীর দণ্ড: আইনজীবী ফোরাম

ঢাকা: গত দুই মাসে ঢাকার আদালতে ২১ মামলায় বিএনপির ২৭১ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর)  সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে বিএনপির আইন সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামালের লিখিত বক্তব্যে এ  তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, ,আব্দুল জব্বার ভুইয়া, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, সৈয়দ মামুন মাহবুব ও জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ২০ নভেম্বর ঢাকার দুটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত কর্তৃক চারটি মামলায় ৪ বৎসর আগে মারা যাওয়া বিএনপির নেতা আবু তাহের দাইয়া, ১০ বৎসর আগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমন এবং ৮ বৎসর আগে গুম হওয়া আমিনুল ইসলাম জাকিরসহ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ ৫৪ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

এ নিয়ে গত দুই মাসে ঢাকার আদালতে ২১টি মামলায় বিএনপির ২৭১ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর বিগত এক বছরে ২৯টি মামলায় ৩০৪ জনের কারাদণ্ড  দেওয়া হয়েছে।  

যে নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান (হাবীব), ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল আলিম (নকি), বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল আলম, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার।  

এমনকি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নূরে আলম সিদ্দিকীকেও (সোহাগ) একটি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় গত ১৫ নভেম্বর দুই বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, আইনজীবী হিসেবে প্রতিটি মামলা পর্যালোচনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, সাজাপ্রাপ্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের সংশ্লিষ্টতা নেই। কোনো ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণ করতে হয় সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে।  

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়,  অধিকাংশ মামলায় সাক্ষী হিসাবে শুধু পুলিশ সদস্যকে হাজির করে সাজা দেওয়া হয়েছে। কোনো নিরপেক্ষ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। এমনকি ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিচারিক বিভিন্ন স্তরও অনুসরণ করা হয়নি। ফলে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তড়িঘড়ি করে বিএনপির নেতাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।  

নেতারা বলেন, বিএনপি নেতাদের একের পর এক সাজা দেওয়ার মাধ্যমে বিচারিক আদালতের প্রতি সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ আমরা বারংবার করে আসছিলাম, তারই প্রমাণ হলো। সংবিধানের দৃষ্টিতে ‘সব নাগরিক সমান' এ কথা আর বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২৩
ইএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।