কুমিল্লা: কুমিল্লার বরুড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে ইউছুফ, বনি আমীন, ইউছুফের ভাতিজা সোলায়মান, ইউছুফের শ্যালক আবদুল হক।
যাবজ্জীবন দণ্ড পেয়েছেন ইউসুফের বড় বোন রজ্জবী বিবি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৯৯৮ সালের ২১ মে আসামিদের সঙ্গে ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. শহীদ উল্লাহর হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জেরে ওই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন শহীদকে পরানপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করেন। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই ও বরুড়া বিজরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. আমান উল্লা বাদী হয়ে ২২ মে একই গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে মো. ইউসুফসহ ১৫ জনকে আসামি করে বরুড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ইউসুফসহ ১৫ জনের নামে ১৯৯৯ সালের ৮ এপ্রিল একটি এবং ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর আরেকটি সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি মো. নুরুল ইসলাম এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আশা করছি, হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।
রাষ্ট্রপক্ষে নিযুক্ত আইনজীবীর পাশাপাশি মামলার ব্যক্তিগত আইনজীবী ছিলেন কুমিল্লা বারের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ সালাউদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. আবু নাসের।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মমিন ফেরদৌস বলেন, এ রায়ের কপি হাতে পেলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।
রায়ের সময় ১৫ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চারজন ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় সাত আসামি খালাস পেয়েছেন। আর মামলা চলাকালে তিন আসামির মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২৩
এসআই