ঢাকা: বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল নিহত হওয়ার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আর গুলশানের আরেকটি বাসা থেকে একইদিন সন্ধ্যায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড শেষে গত ৯ নভেম্বর তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রশিদুল আলম।
সিএমএম আদালতে জামিন নামঞ্জুরের আদেশের বিরুদ্ধে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন চান তারা। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আজ জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নামে। দুপুরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হলে এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
সংঘর্ষ চলাকালে ফকিরাপুলের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মাথায় আঘাত পেয়ে রাস্তায় পড়ে যান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আমিরুল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আমিরুলের বাড়ি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলায়।
এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
কেআই/আরআইএস