ঢাকা: নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পাঁচ থানায় দায়ের করা পৃথক পাঁচ মামলায় বিএনপির ১৩৫ নেতাকর্মীকে সাজা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পাঁচজন বিচারক পৃথকভাবে এসব রায় দেন।
এর মধ্যে ২০১৮ সালে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির আট নেতাকর্মীকে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীম। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় দুজনকে খালাস দেন তিনি।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ইমরান, আ. কুদ্দুস, মিজানুর রহমান, আসিফ হোসেন রানা, আমির হোসেন, কামরুল ইসলাম, আক্তার হোসেন ও মানিক দত্ত।
রায়ে দণ্ডবিধির এক ধারায় আট আসামির প্রত্যেকের ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং আরেক ধারায় প্রত্যেকের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে ২০১০ সালে রাজধানীর হাজারীবাগ থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীকে দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় দেড় বছর করে কারাদণ্ড দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীর।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল লতিফ, আজিজ, সানাউল্লাহ, হাসু মিয়া, হাসু ও আবুল খায়ের ওরফে লিটন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলা থেকে ৫১ জনকে খালাস দেন আদালত।
এদিন এক মামলায় সর্বোচ্চ ৯৩ বিএনপি নেতাকর্মীকে সাজা দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শেখ সাদী। তুরাগ থানায় ২০১৮ সালে দায়ের করা এ মামলায় তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- আব্দুর রশিদ, আলম মিয়া, কামাল হোসেন, মোজাম্মেল, নুরুল সিলাম, সুরুজ মিয়া, বোরহান উদ্দিন মনু, হালিম, বারী হুজুর, শাহ আলম, বাদশা, নেছার আহাম্মেদ টুটুল, আবু বক্কা সিদ্দিক, বশির, আমির, কবির হোসেন, খলিলুর রহমান, জলিল মিয়া, সরোয়ার হোসেন, মো. দুলাল মিয়াসহ প্রমুখ।
তাদের দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩৫৩ ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
এদিকে ২০১৮ সালে রাজধানীর রামপুরা থানার দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির ১৩ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আব্দুল কাদের, ডা. খান মতিউর রহমান, লোকমান খান, জহিরুল ইসলাম, মাইনউদ্দিন, আহসান হাবিব, হাফেজ আব্দুল কাইউম ভাই, ইকবাল কবির নিপু, সাখাওয়াত হোসেন রিফাত, মিজানুর রহমান গালিব ওরফে গালিব হাসান ওরফে চৌধুরী ইভান, আজিজুল্লাহ ভুইয়া, সালেহ আহমেদ ও লুৎফর রহমান।
এছাড়া তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
অপরদিকে রাজধানীর বংশাল থানায় ২০১৩ সালে আগে নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট. সুলতান সোহাগ উদ্দিন। এছাড়া তাদের দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেন- মোহন, তাইজুদ্দিন ওরফে লম্বা তাইজু, শাহাজাহান, মাসুম, ডলার ইকবাল, ইয়াকুব সরকার, হাজী মো. আদিল, মীর মোহাম্মাদ আলী প্রমুখ।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলায় ৪৬ জনকে খালাস দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
কেআই/আরআইএস