ঢাকা: ২৮ অক্টোবরের সমাবেশ ঘিরে নানা অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানার চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদনের শুনানি ২১ জানুয়ারি। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
এদিন আট মামলায় আমীর খসরুর পক্ষে করা জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। এর মধ্যে দুপুরে চার মামলায় শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে চারটি মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেসব মামলার শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ রাখা হয়। পরে বিকেলে এসব মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এসব মামলায় জামিন পেলেই মুক্তি মিলবে তার।
গত ১৪ জানুয়ারি সকালে সিএমএম আদালতে এসব মামলায় জামিন আবেদন করেন আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন। সেদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি ধার্য করা হয়।
গত ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের দুজন বিচারক বরাবর আট মামলায় জামিন আবেদন করা হয়। তবে তদন্ত কর্মকর্তা গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করার আগে এসব মামলায় জামিন শুনানিতে অপারগতা প্রকাশ করেন আদালত।
এরপর এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেন আমীর খসরু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন নিয়ে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেন।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পল্টন থানার এক নাশকতার মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
কেআই/আরএইচ