ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রত্যাহার করা হলো সেই বিচারককে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
প্রত্যাহার করা হলো সেই বিচারককে

জয়পুরহাট: জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মো. আব্বাস উদ্দীনকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ। সেখানে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব (প্রশাসন-১) মোহাম্মদ ওসমান হায়দার সই করেছেন।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলা ও দায়রা জজের মনোনীত কর্মকর্তার কাছে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাকে বর্তমান কর্মস্থলের পদে থাকা দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের কথা বলা হয়েছে।

জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

তিনি বলেন, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তার সঙ্গে আরও একজন বিচারকেরও বদলি হয়েছে।

৫ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে জয়পুরহাট জেলা শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীনের ভাড়া বাসায় দুস্কৃতকারীরা ঢুকে চুরি ও তাকে ফাঁসি দেওয়ার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই বিচারক বাদী হয়ে চুরি ও হুমকির অভিযোগ এনে নিজে বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। ৩১ জানুয়ারি একটি হত্যা মামলায় ১১ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন বিচারক মো. আব্বাস। এ রায়ের পলাতক আসামি ও তাদের সহযোগীরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন।

ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাগর হোসেন ও সুমন চক্রবর্তী নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার দুজনের কাছ থেকে পুলিশ উল্লেখযোগ্য তথ্য পায়নি। পরে সুমনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তার কাছ থেকেও কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।