ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন 

জয়পুরহাট: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১২টায় জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নূরুল ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।

রায় ঘোষণার সময় ১৯ জন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার হরেনদা গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে আলম, আব্দুস সাত্তারের ছেলে দোলা, ওসমান, কোরমান, আব্দুল গফুরের ছেলে আজাদুল, খলিল আকন্দের ছেলে লাবু, বাবু, আমিনুর, বিরাজ উদ্দিনের ছেলে ফারাজ মণ্ডল, সুন্নত আলীর ছেলে শুকটু, মৃত নায়েব আলীর ছেলে উকিল, ভরসা আকন্দের ছেলে দুলাল, আলতাফ আলীর ছেলে আলিম, নজরুল, আব্দুল গফুরের ছেলে সাইদুল, ভরসা আকন্দের ছেলে সানোয়ার, আব্দুস সাত্তার প্রধানের ছেলে সাইফুল, কফিল উদ্দিনের ছেলে কালাম এবং সোলেমান আকন্দের ছেলে জহুরুল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০২ সালের ২২ নভেম্বর রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের সামছদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমানকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ধানক্ষেত থেকে থেকে আলম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ধরে নিয়ে যান প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন তারা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল বারিক মুন্সী বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল ও উদয় সিংহ। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান, শাহজালাল সিদ্দিকী ও সোহেলী পারভীন সাথী।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।