ঢাকা: ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া শহীদ মিয়ার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (১৮ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ হুমায়ুন কবির রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া শহীদ মিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে ফেরার পথে তল্লাশিকালে চার কোটি ৬০ লাখ টাকার সোনাসহ গ্রেপ্তার হন।
এ ঘটনায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামি শহীদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল পূর্বক জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৮টা ৪১ মিনিটে শারজাহ থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ শহীদ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তিনি ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার থাকার কথা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার কাছে ৩০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তার কাছে আর কোনো সোনা থাকার কথা অস্বীকার করায় তাকে তল্লাশি করেন গোয়েন্দারা। তার পরনে অত্যধিক পরিমাণ জামা-কাপড়ের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তার জামাকাপড়ের ওজন অস্বাভাবিক দেখায় সেগুলো খুলে স্ক্যানিং মেশিনে স্ক্যান করা হয়। এ সময় জামাকাপড়ের মধ্যে বিশেষভাবে লুকায়িত স্বর্ণের ইমেজের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে তাকে কাস্টমস হলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সোনার পরিমাণ নির্ণয়ের লক্ষ্যে শহীদ মিয়ার শরীরে পরিহিত ১৬টি কাপড়। এর মধ্যে শর্ট প্যান্ট-৯টি, স্যান্ডো গেঞ্জি-৬টি ও ফুল প্যান্ট-১টি। স্থানীয় স্বর্ণকার কর্তৃক যাত্রী ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে বিমানবন্দরের ক্যানোপি-১ এ নিয়ে এসব কাপড় পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পরে অপরিশোধিত চার হাজার ৪৬২ গ্রাম সোনা পাওয়া যায়। এছাড়া তার কাছে ৩০ গ্রাম অলংকার পায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ।
এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০২৪
কেআই/এএটি