ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার উত্তীর্ণদের নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় উঠা প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তিন মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৫ পরীক্ষার্থীর রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৮ মে) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। আর এ ফাঁস হওয়া প্রশ্নে অনেকে পরীক্ষা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এ কারণে প্রকাশিত ফল নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তাই প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার ঘটনার তদন্ত এবং পরীক্ষা প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের কয়েকজন পরীক্ষার্থী।
গত ২১ এপ্রিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ এর তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১টি জেলার লিখিত পরীক্ষার ফলাফল রোববার (২১ এপ্রিল) প্রকাশিত হয়েছে।
পরীক্ষায় ৪৬ হাজার ১৯৯ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা ৯ জুন থেকে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৯ মার্চ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। ২০১৩ সালের ১৪ জুন এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৪
ইএস/আরআইএস