ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল ৬ দিনের রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
আসিফ মাহতাব ও জাবি শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল ৬ দিনের রিমান্ডে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস

ঢাকা: সেতু ভবনে হামলার ঘটনায় ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুতে আলোচিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস ও জাবি শিক্ষার্থী আরিফ সোহেলের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

 

এদিন তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া।  আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।  

গত শনিবার রাত ১টার দিকে উত্তরার ৯ নম্বর সেক্টরের ১০/এ সড়কের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় আসিফ মাহতাব উৎসকে।  

মাহাতাবকে তুলে নেওয়ার বর্ণনা দিয়ে বাবা শাহাবুর রহমান বলেন, ‘রাত ১টার দিকে হঠাৎ করে বাসায় নক করেছে। আমার ছেলেই দরজা খুলে দিয়েছে। বাসায় ঢুকে ছেলেকে বলে আমাদের সঙ্গে আপনাকে যেতে হবে। বলা হয়, কেউ নড়াচড়া করবেন না। সবার গায়েই পুলিশের পোশাক ছিল। কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বলা হয়, ওকে (আসিফ) জিজ্ঞেস করেন। কোনো কারণ বলেনি। আনার পর কোনো সন্ধানও দিচ্ছে না। তুলে নিয়ে আসার পর ডিবি অফিস থেকে আমাদের কোনো কিছুই জানানো হয়নি। ’ 

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

সেতু ভবনের সিনিয়র সচিবসহ কর্মকর্তাদের পদ-পদবি উল্লেখ করে আসামিরা খোঁজাখুঁজি করে হুমকি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্ঘাতমূলক ভীতি সৃষ্টি করে সেতু ভবন লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। একপর্যায়ে তারা আমাদের অফিসের মূল ফটক ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে সেতু ভবনের ভেতরে প্রবেশ করে নিচ তলার ভবনের সামনে রক্ষিত জিপ, কার, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোটরসাইকেল, নিরাপত্তা ভবন, সিসি ক্যামেরা, পার্কিং শেড, ক্যান্টিন, গাড়িচালকদের কক্ষ, আনসার শেড, মুজিব কর্নার, জেনারেটর কক্ষসহ মূল ভবন ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ ঘটান।  

এ সময় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে আসামিরা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, মিনিবাসের ক্ষতিসহ আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২৪
কেআই/আরএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।