ঢাকা: হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে সিএমএম আদালত চত্বরে আনা হলে চারিদিকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আদালতের মূল ফটকের বাইরে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
হাসিনা সরকারের উঁচু পদের এই দুই ব্যক্তির বিচার দাবি করে তারা ঝাড়ু মিছিল বের করেন সাধারণ জনতা।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে পুলিশ ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে এলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শুনানি চলাকালে এবং আদেশের পরও বিক্ষোভ চলতে থাকে।
এদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ‘খুনি সালমান-আনিসুলের ফাঁসি চাই’সহ নানা স্লোগান দিয়ে ঝাড়ু মিছিল বের হয়।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৬টার দিকে সালমান ও আনিসুলকে বহন করা পুলিশের প্রিজন ভ্যান আদালত প্রাঙ্গণে এলে ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
উপস্থিত আইনজীবীদের কেউ কেউ ডিম নিক্ষেপ করেন তাদের লক্ষ্য করে।
এসময় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকসহ পতন হওয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ও তাদের গায়ে ডিম ছোড়া হয়। এছাড়া এজলাসেও আসামি দুজনকে উদ্দেশ্য করে খুনি খুনি স্লোগান দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটের দিকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আদালত চত্বরে আনা হয় এবং পরে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। পরে আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড আবেদন শুনানি হয়। পরে আদালত তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ সময় ঢাকা বারের সভাপতি খুরশীদ আলম মিয়া জানান, ‘হত্যার অভিযোগ উত্থাপন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। এরা (আসামিরা) ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। এরা শিশু-কিশোরের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছিল। ’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এদের মধ্যে একজন ছাত্র এবং একজন হকার। এ ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়। এসব হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০২৪
কেআই/এসএএইচ