ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৩৬৫ দিনই মানবাধিকারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪
৩৬৫ দিনই মানবাধিকারের

ঢাকা: ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানুষের প্রতি সহমর্মিতা এবং মানবতাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে ঘোষিত হয় সার্বজনীন মানবাধিকার দিবস।

এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-‘হিউম্যান রাইটস থ্রি সিক্স ফাইভ’। এর দ্বারা বোঝানো হয়েছে, বছরের ৩৬৫ দিনই মানবাধিকারের।
 
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও বুধবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন করা হবে। বাংলাদেশ এবার তৃতীয়বারের মতো জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে নির্বাচিত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে এ বছর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন নতুন মাত্রা পেয়েছে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
 
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বর্তমান সরকার মানবাধিকার রক্ষায় অত্যন্ত আন্তরিক। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন ও ব্যক্তি মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বাণীতে জনগণের মৌলিক অধিকার সমুন্নত রাখতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
          
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ১৯৫০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষিত হওয়ার পর মানবাধিকারের প্রতি জাতিসমূহের বিশেষ দৃষ্টি দিতে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে।
 
তিনি বলেন, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য হিউম্যান রাইটস থ্রি সিক্স ফাইভ যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমি মনে করি দিবসটির তাৎপর্য সবাইকে বছরের সব দিনগুলোতে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় উদ্বুদ্ধ করবে। বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার সন্নিবেশিত হয়েছে।
 
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার সকল মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
 
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। ’৭১এর যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচারের রায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশ্বের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, বাংলাদেশ তার নিন্দা জানিয়ে আসছে। এ বছর গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলি বর্বর হামলার পর বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ এবং জাতীয় সংসদ এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে।
 
২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পূর্বে বিএনপি-জামাত জোট দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের পেট্রোল বোমা আর সহিংস হামলায় নিহত হন প্রায় দুইশ নিরীহ মানুষ। হাজার হাজার গাড়ি ভাঙচুর করে অথবা আগুনে পুড়িয়ে দেয়। তাদের হাত থেকে সরকারি অফিস, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফুটপাতের দোকান এমনকি নিরীহ পশুও রেহাই পায়নি। তারা মহাসড়কসহ রাস্তার দু’পাশের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলে। ২০০১ সালে নির্বাচনের পরও তারা একই ধরনের নারকীয় ঘটনা ঘটিয়েছিল।
 
দিবসটি উপলক্ষে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো শোভাযাত্রা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
 
দিনটি উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সদর দপ্তর এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন শাখার সমন্বয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।