নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন হত্যা মামলায় এক র্যাব কর্মকর্তাসহ চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল পৌনে ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় গ্রেফতার নূর হোসেন, তারেক মুহাম্মদ সাঈদসহ ২৩ আসামি উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আগামী ১ আগস্ট পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার র্যাব-১১ এর সাবেক পরিচালক এএসপি মোবারক হোসেন, ইয়াছিন ওরফে শিপন, কামাল হোসেন, আবদুল হেকিম নামে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
‘এরমধ্যে শিপনের কাছে নিহত সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকারের মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। আর কামাল হোসেন ছিলেন ওই মোবাইল ফোন উদ্ধার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। এছাড়া নদী থেকে বস্তা ও ইট বাধা লাশ উদ্ধারের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আবদুল হেকিম। ’
অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী জানান, এ পর্যন্ত সেভেন মার্ডারের দুই মামলায় ৯২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাত খুনের ঘটনায় দু’টি মামলা করা হয়েছে। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল। অপর মামলার বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুই মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলেন ১২৭ জন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় একবছর পর গত ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি দু’টি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলায় নূর হোসেন ও র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ২৩ জন কারাগারে আটক রয়েছেন।
আর চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে এখনও পলাতক রয়েছেন ১২ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৬
এমএ/