ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শাজনীন হত্যার আপিলের চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১, ২০১৬
শাজনীন হত্যার আপিলের চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার

ঢাকা:  ১৮ বছর আগে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিক  লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) ঘোষণা করবেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার (০১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মঙ্গলবারের কার‌্যতালিকায় রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি এক নম্বরে রাখা হয়েছে।

    

গত ১১  মে এ ঘটনায় ফাঁসির আদেশ পাওয়া পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি শেষ হলে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রেখেছিলেন (সিএভি) আপিল বিভাগ।  

আসামিপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও এস এম শাহজাহান শুনানি করেন।
বাদীপক্ষে ছিলেন সদ্য অবসরে যাওয়া বিচারপতি নজরুল  ইসলাম চৌধুরী, এ এম আমিনউদ্দিন, এ এস এম আবদুল মোবিন ও সরোয়ার আহমেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম  ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র শাজনীন তাসনিম রহমান। এ ঘটনায় শাজনীনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।

চার বছর পর ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে ফাঁসির আদেশ দেন।

ফাঁসির আদেশ পাওয়া অন্য পাঁচ আসামি হলেন- গৃহভৃত্য শহীদুল ইসলাম শহীদ, হাসানের সহকারী বাদল এবং গৃহকর্মী দুই বোন এস্তেমা খাতুন মিনু ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।

পরে এ মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন। তবে ফাঁসির আদেশ পাওয়া শনিরামকে খালাস দেন হাইকোর্ট।

এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন ফাঁসির আদেশ পাওয়া চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন।

২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল সাজাপ্রাপ্ত চার আসামির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আরেক আসামি শহীদুল জেল আপিল করেন। প্রায় সাত বছর পর গত ২৯ মার্চ ওই পাঁচ আসামির আপিলের শুনানি শুরু হয়ে ১১ মে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।