ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের কপি দিতে আইনমন্ত্রীর অনুরোধ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬
প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের কপি দিতে আইনমন্ত্রীর অনুরোধ ছবি- কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সরিয়ে দিতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের লিখিত অনুলিপি দিতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

ঢাকা: সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ সরিয়ে দিতে প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের লিখিত অনুলিপি দিতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

 

রোববার (১১ ডিসেম্বর) বাংলা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ অনুরোধ জানান আইনমন্ত্রী।

এর আগে, শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের ১১৬ ও ১১৬ (এ) অনুচ্ছেদ সংবিধানের প্রিন্সিপালসের সঙ্গে কনফ্লিক্ট করে।  এর পরিপ্রেক্ষিতে এই দুইবিধান সংবিধানের পরিপন্থী।  এটা আমাদের পবিত্র বই থেকে অতি তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।  এটা থাকায় আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি আইনের অভিভাবক।  কাজেই সংবিধানের অভিভাবক হয়ে বলছি, এটা যদি না হয় তাহলে বিচারকদের ডিসিপ্লিন রুলস কে করবে? সরকার করবে না আমরা বিচারকরা করবো? তাদের কন্ট্রোল, বদলি কোনো কিছুই আমরা করতে পারছি না।  তাই এই অসাংবিধানিক প্রভিশনগুলো তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেওয়া হবে বলে আমি আশা করি।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি সকাল বেলা খবরের কাগজে পড়েছি। কিন্তু আমি মনে করছি, খবরের কাগজে হয়তো তার পূর্ণাঙ্গ বক্তৃতা আসেনি। সেটা বোঝার জন্য আমি অলরেডি সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করেছি, তার বক্তব্য যদি উনি লিখিত দিয়ে থাকেন তাহলে সেই কপিটা যেনো আমাকে দেওয়া হয়। এটা দিলে আমি সঠিকভাবে অনুধাবন করে আমার যে কথা সেগুলো বলতে পারবো। যতোক্ষণ পর্যন্ত কপিটা না পাই ততোক্ষণ পর্যন্ত আমি কোনো বক্তব্য দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হোক, সেটা আমি চাই না।

আইনমন্ত্রী বলেন, কিন্তু আমি একটা কথা অত্যন্ত পরিষ্কারভাবে বলবো, এখন যে অনুচ্ছেদগুলো রয়েছে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ব্যাপারে (১১৬-ক ), সেটা সরকার সম্পূর্ণভাবে মেনে চলে। বিচারিক কাজে বিচারককে কোনোভাবে নির্বাহী বিভাগ হস্তক্ষেপ করে না। আমরা করি না। আমরা ১১৬-ক সম্পূর্ণভাবে মেনে চলি ও সম্মান করি।

সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের ও বিচার বিভাগীয় দায়িত্বপালনরত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল- নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃংখলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রিম কোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে।

 ১১৬ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিরা ও ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

ইএস/এএটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।