‘বিদ্যমান নাগরিকত্ব আইন নাগরিক অধিকার ও প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ শীর্ষক নাগরিক সভায় শনিবার (৩১ ডিসেম্বর ) এসব প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। সভাটির আয়োজন করে সাতটি সংগঠন।
গত ০১ ফেব্রুয়ারি সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক সভায় ‘বাংলাদেশ নাগরিকত্ব আইন-২০১৬’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
সিরডাপে নাগরিকত্ব আইন ও অধিকার মোর্চার এ আয়োজনে বক্তব্য দেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক ব্যারিস্টার নজরুল খসরু, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার জ্যের্তিময় বড়ুয়া ও নারীপক্ষের ফরিদা ইয়াসমিন।
সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সি আর আবরার।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘প্রস্তাবিত আইনের ৩ধারায় বলা হয়েছে, অন্য কোনো আইন বা আদালতের রায়ে যাহা কিছু থাকুক নাকেন, এ আইনের বিধানাবলি প্রাধান্য পাবে। আইনের এ বিধানটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’।
আইনের ৪ ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেক ব্যক্তি জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হবেন যদি তার পিতা-মাতা এ আইন বলবৎ হইবার তারিখে বা উহার পরে অথবা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হইতে এই আইন বলবৎ হইবার অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জন্মসূত্রে বাংলাদেশের নাগরিক হন বা থাকেন’।
‘অনেক মুক্তিযোদ্ধা আছেন, যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না নিয়ে লন্ডন-আমেরিকায় চলে গেছেন। যদি এ আইন পাস হয়, তাহলে তাদের এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের কি হবে’- এমন প্রশ্ন করেনন বক্তারা।
একই রকমভাবে আইনের ৫ ধারায় বংশসূত্রে নাগরিকত্ব, ৬ ধারায় প্রবাসীদের নাগরিকত্ব, ৭ ধারায় প্রবাসীদের নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা, ১১ ধারায় বৈবাহিক সূত্রে নাগরিকত্ব, ১২ ধারায় ভূখণ্ড সংযোজনসূত্রে নাগরিকত্ব , ১৮ ধারায় নাগরিকত্বের অযোগ্যতা, ২০ ধারায় নাগরিকত্ব বাতিল, ২১ ধারায় অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
অন্যান্য আইনের মতো এ আইনে মুখবন্ধ দেওয়া হয়নি।
আলোচনায় বক্তারা আইনের সব সমস্যা তুলে ধরে সরকারের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬
ইএস/এএসআর