ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

২৩৬৭ গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির রায় বহাল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৭
২৩৬৭ গেরিলাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির রায় বহাল হাইকোর্টের ছবি। ফাইল ফটো

ঢাকা: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। 

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন। ফলে ২৩৬৭ গেরিলা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রইলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।


 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। গেরিলা যোদ্ধাদের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন ও সুব্রত চৌধুরী।

গত ৮ সেপ্টেম্বর একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই প্রজ্ঞাপন বাতিল করে তাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি এবং প্রাপ্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও ভাতা দিতেও সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়।

পরে হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।  

২০১৩ সালের ২২ জুলাই গেরিলা বাহিনীর ওই ২ হাজার ৩শ’ ৬৭ জন যোদ্ধাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য যোদ্ধারা হলেন-কমরেড মণি সিংহ, প্রফেসর মোজাফফর আহমেদ ও পঙ্কজ ভট্টাচার্য। পরে কোনো কারণ ছাড়াই ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর আগের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়, যেটিতে ওই গেরিলা যোদ্ধাদের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।

২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর সরকারের তালিকা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন ওই গেরিলা বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার ও ইউনাইটেড ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ঐক্য ন্যাপ) সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য। পরে ওই রিটের শুনানি শেষে প্রজ্ঞাপনটিকে কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত বলে ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার পরপরই ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ও সদস্যরা একটি বিশেষ গেরিলা বাহিনী গঠন করে জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারি গেরিলা বাহিনীর কমান্ডাররা ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন অস্থায়ী সরকার এবং স্বাধীনতা উত্তর বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকারসহ প্রতিটি সরকার এই বিশেষ গেরিলা বাহিনীকে মুক্তি সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী অন্যতম মুক্তি বাহিনী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
ইএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।