ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘বিনা বিচারে’ কারাবন্দি ৭ জনকে হাজির করতে হবে বৃহস্পতিবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
‘বিনা বিচারে’ কারাবন্দি ৭ জনকে হাজির করতে হবে বৃহস্পতিবার

ঢাকা: ‘বিনা বিচারে’ এক যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা এক গারো তরুণসহ সাতজনকে বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে তাদের হাজির করতে মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দিন ধার্য করা ছিলো। কিন্তু আদালতের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছানোয় বৃহস্পতিবার নতুন দিন ধার্য করেন বিচারপতি নুরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এইচ নুরুল হুদার হাইকোর্ট বেঞ্চ।


 
সাতজন হলেন- কুষ্টিয়ার রাসেল শেখ, রাজধানীর বাড্ডার সাইদুর রহমান, মতিঝিলের মাসুদ, কেরানীগঞ্জের রাজীব হোসেন, গাজীপুরের বোর্ড বাজারের বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পারভেজ ও নেত্রকোনার গারো তরুণ লিটন।  

তারা সবাই বিভিন্ন মামলায় এক যুগের বেশি সময় ধরে গাজীপপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে-২ বন্দি রয়েছেন।  

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ওই সাতজনকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। প্রচারিত প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্যানেল আইনজীবী বেহেশতী মারজান।
 
এরপর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের ২৪ জানুয়ারি হাজির করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি রুলও জারি করেন।

ইতোমধ্যে ওই বেঞ্চের বিচারিক এখতিয়ার পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন বেঞ্চে তাদের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়।
  
আইনজীবী বেহেশতী মারজান বলেন, ১৫ ডিসেম্বর দেওয়া আদালতের আদেশ কারা কর্তৃপক্ষের কাছে না পৌঁছানোয় তাদের মঙ্গলবার হাজির করা সম্ভব হয়নি।
 
 
সাতজনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইয়ুব শেখের ছেলে রাসেল শেখ রাজধানীর কাফরুল থানার একটি মামলায় ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় তাকে ৫৫ কার্যদিবস হাজির করা হয়।  
 
রাজধানীর বাড্ডার আদর্শনগরের তাইবুর রহমানের ছেলে সাইদুর রহমান নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৫ সালের ০৬ সেপ্টেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৪ বিচারাধীন এ মামলায় সাইদুরকে ৫৯ বার আদালতে হাজির করা হয়।
 
কেরাণীগঞ্জের ইমানদীপুরের মাহবুব আলমের ছেলে রাজীব হোসেন খিলগাঁও থানায় দায়ের করা এক মামলায় ২০০৩ সালের ০৬ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৪ বিচারাধীন এ মামলায় ৪৪ কার্যদিবস হাজির করা হয়েছে তাকে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৈরতলার চান মিয়ার ছেলে পারভেজ কোতোয়ালি থানায় নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৪ সালের ০২ জুলাই থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় পারভেজকে ৪২ কার্যদিবস আদালতে হাজির করা হয়েছে।  
 
মতিঝিলের ওবায়দুর রহমানের ছেলে মাসুদ শ্যামপুর থানার এক মামলায় ২০০৩ সালের ০১ এপ্রিল থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-২ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে।  


নেত্রকোনার কমলাকান্দার চেংগিনি এলাকার প্রসেন সাংমার ছেলে লিটন রাজধানীর উত্তরা থানার এক মামলায় ২০০৫ সালের ২৩ জানুয়ারি থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে-৮ বিচারাধীন এ মামলায় ৫৮ কার্যদিবস হাজির করা হয়েছে তাকে।  


গাজীপুরের জয়দেবপুরের বোর্ডবাজার এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে বাবু রমনা থানায় দায়ের হওয়া নারী নির্যাতনের এক মামলায় ২০০৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। ঢাকার নারী ও শিশু আদালতে-৩ বিচারাধীন এ মামলায় বাবুকে ৪৪ কার্যদিবসে আদালতে হাজির করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৭
ইএস/এসএইচ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।