ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের গেজেট বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধের গেজেট বহাল

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সর্বোচ্চ সংরক্ষণের স্বার্থে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন মাছ আহরণ নিষিদ্ধে জারি করা গেজেট বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

গেজেটের বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়ে সোমবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
 
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।

পরে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ২০ মে মেরিন ফিশারিজ অর্ডিন্যান্স ৫৫ ধারার ক্ষমতাবলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় গেজেট জারি করে। গেজেটে বলা হয়, ‘বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সর্বোচ্চ সংরক্ষণের স্বার্থে প্রত্যেক বছরের ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন মাছ ও চিংড়ি আহরণ নিষিদ্ধ করা হলো’।
 
এ গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মেরিন ফিসারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওই বছরের ৯ জুলাই রিট দায়ের করে। এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট গেজেট জারিকে বৈধ বলে রায় দেন।
 
২০১৫ সালের ০৫ মে সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বলেন, মানুষের জীবন ধারণের জন্য যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, তেমনি মানুষের পুষ্টির জন্য মাছও অন্যতম। পুষ্টি দরকার স্বাস্থ্য সুরক্ষায়।
 
‘মৎস্য সম্পদের প্রতি তার মন্ত্রণালয় বিশেষ জোর দিয়েছে। কারণ পুষ্টি ও বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির খাত এই মৎস্য খাত’- বলেন মন্ত্রী।
 
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশে যেভাবে বিভিন্ন নদ-নদীতে জাটকা শিকার হচ্ছে, তাতে আগামীতে ইলিশ পাওয়াই দুষ্কর হয়ে যাবে। যদি এখনই কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তো ইলিশ আর পাওয়াই যাবে না।
 
বিশ্বের সমুদ্র উপকূলবর্তী দেশগুলোতে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুমে দুই থেকে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। ভারতেও প্রজনন মৌসুমে তিন মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। মূলত মাছ সংরক্ষণের স্বার্থে ওই সময়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
 
মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সামুদ্রিক এলাকা হলো ১ লাখ ১৮ হাজার ১১৩ বর্গকিলোমিটার। যা প্রায় আরেকটি বাংলাদেশের সমান। এই বিশাল এলাকা আমাদের একক অর্থনৈতিক অঞ্চল। আমরা জানি না, এর ভেতরে কি পরিমাণ সম্পদ আছে। কি পরিমাণ মৎস্য সম্পদ লুকিয়ে আছে। যে কারণে গবেষণা চালাতে হবে। গবেষণা চালিয়েই আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে’।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।