ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ফের পিছিয়ে ২৬ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন ফের পিছিয়ে ২৬ জুলাই

ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের দিন ফের পিছিয়েছে। আগামী ২৬ জুলাই পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (১১ জুন) প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ কোনো প্রতিবেদন দাখিল করেননি।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট খুরশিদ আলমের আদালত ২৬ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ৫ বছর ৪ মাসে এ নিয়ে ৪৮তম বারের মতো প্রতিবেদন দাখিল পেছালো। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে স্বশরীরে তলব করে মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত। দীর্ঘসূত্রতায় বিচার বিলম্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে দ্রুত চার্জশিট দাখিলের তাগাদাও দিয়েছেন। তবু মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি ।

ঘটনার ৮ মাস পর ২০১২ সালের ১০ অক্টোবর বনানী থানার একটি হত্যা ও ডাকাতি মামলায় গ্রেফতার থাকা ৫ আসামি মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু, বকুল মিয়া, কামরুল হাসান অরুন, রফিকুল ইসলাম ও আবু সাঈদকে গ্রেফতার দেখিয়ে এ মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়। ওইদিনই রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমান ও বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পাল এবং পরবর্তীতে অন্য দারোয়ান এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবিরকে গ্রেফতার করা ছাড়া মামলার তদন্তে দৃশ্যত কোনো অগ্রগতি নেই। কয়েকজন আসামি ইতোমধ্যেই জামিন পেয়েছেন।
 
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পর হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় র‌্যাব।

এরপর সাগর-রুনির মরদেহ কবর থেকে তোলার আবেদন জানানো হয়। ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুজ্জামানের উপস্থিতিতে সাগর-রুনির মরদেহ তোলা হয়। তাতে পরীক্ষা করে দেখা যায়, নিহত সাগর-রুনিকে হত্যার আগে কোনো নেশাজাতীয় খাবার পানীয় দেওয়া হয়নি এবং কোনো বিষও পাওয়া যায়নি।
 
এরপর ২০১২ সালের ০৭ জুন থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত জব্দকৃত আলামতের সঙ্গে ম্যাচিং করতে গ্রেফতারকৃত ৮ আসামি ও সন্দেহভাজন ২১ আত্মীয়ের নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। মূলত এরপরই মামলার তদন্তে স্থবিরতা নেমে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৭
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।