ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নড়াইলের চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩০ জুলাই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
নড়াইলের চারজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন পিছিয়ে ৩০ জুলাই আবদুল ওহাব ও ওমর আলী শেখ

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় একাত্তরের ‘জল্লাদ’ নামে কুখ্যাত নড়াইলের আব্দুল ওহাব ও ওমর আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ৩০ জুলাই পুনর্নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
 

আবদুল ওহাব ও ওমর আলী শেখ ছাড়াও এ মামলার আরেক আসামি বদরুদ্দোজা ওরফে বদিউজ্জামান গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। বাকি এক আসামি পলাতক।

বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলে ফের দুই মাসের সময়ের আবেদন জানান প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।

আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি জানান, তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলে রাষ্ট্রপক্ষের দুই মাস সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৩০ জুলাই দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে গত ১৮ মে প্রসিকিউটর চমন তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলে দুই মাসের সময়ের আবেদন জানালে ট্রাইব্যুনাল ১৪ জুন পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন।

ওহাব, ওমর ও বদরুদ্দোজাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

নাশকতার মামলায় আব্দুল ওহাবকে (৮০) ২০১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার ফুলেশ্বর গ্রাম থেকে এবং ওমর আলী শেখকে (৬৫) গত বছরের ০২ ফেব্রুয়ারি নড়াইল শহরের বরাশুলা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

গত বছরের ০৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই দু’জনকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

এরপর মামলার অন্য দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে গত ২৯ মার্চ বদরুদ্দোজাকে (৬৭) গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন ৩০ মার্চ হাজির করা হলে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন ট্রাইব্যুনাল।

নড়াইলের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে নড়াইল শহরের পুরাতন লঞ্চঘাটে রাজাকাররা ক্যাম্প স্থাপন করে। শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান কুখ্যাত রাজাকার সোলায়মানের নির্দেশে জল্লাদ ওহাব ও ওমরের নেতৃত্বে আসামিরা অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাকামী মানুষকে জবাই করে মরদেহ চিত্রা নদীতে ফেলে দিয়েছেন। ওই এলাকায় জল্লাদ নামে কুখ্যাত ওহাব ও ওমর।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, গত বছরের ২১ মার্চ থেকে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা  একাত্তরে নড়াইলের তুলারামপুর ও পার্শ্ববর্তী অভয়নগর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামে দু’টি গণহত্যার ঘটনায় আসামিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পেয়েছেন। আরও তদন্ত করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
ইএস/জিপি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।