ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এটিই লাস্ট চান্স: প্রধান বিচারপতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬০৫ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৭
এটিই লাস্ট চান্স: প্রধান বিচারপতি

ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট না হওয়ায় ‘লাস্ট চান্স’ হিসেবে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।

রোববার (০২ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারপতির বেঞ্চ গেজেট প্রকাশে আরও দুই সপ্তাহ সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।

সকালে শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন জমা দেন।

তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটি কী? কতদিন সময় চাচ্ছেন?’। জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দুই সপ্তাহ। ’ এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এটিই লাস্ট চান্স। ’

এর আগে গত ১৫ মে ও ২৯ মে আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছিলেন।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বর হাজির করতে নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি।

পরে অবশ্য দুই সচিব আদালতে হাজির হওয়ার পর গেজেট প্রকাশে সময় দেন আদালত।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।

গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানির সময় আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থি।

এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশে আরও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৩ ঘণ্টা, জুলাই ০২,২০১৭
ইএস/জেডএস

** 
বিচারকদের চাকরির বিধিমালা প্রকাশে আরও দুই সপ্তাহ সময়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।