ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাভারে ট্যানারিতে ৭দিনের মধ্যে ইউটিলিটি সংযোগের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৭
সাভারে ট্যানারিতে ৭দিনের মধ্যে ইউটিলিটি সংযোগের নির্দেশ বাংলানিউজ ফাইল ছবি

ঢাকা: আদালতের রায়ের পরও হাজারীবাগে থেকে যাওয়া ১৫৫ ট্যানারিকে সাত দিনের মধ্যে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে শ্রমসচিবের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  ওই টাকা ট্যানারি শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করবেন শ্রম সচিব।
 

আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার (০৫ জুলাই) বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
 
তিনি বলেন, গত ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগ রায় দিয়েছিলো।

যার পূর্ণাঙ্গ সার্টিফাইড অনুলিপি হাতে পেয়েছি। এতে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
 
গত ২ মার্চ হাজারীবাগে থেকে যাওয়া ট্যানারিগুলোর ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বকেয়া জরিমানা দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
 
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশন ও ফিনিশড লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন আবেদন জানায়।

গত ১৯ মার্চ চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
 
এদিকে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাজারীবাগে ট্যানারি চালু রাখায় গতবছর ১৫৪ প্রতিষ্ঠানের মালিককে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা নির্ধারণ করে দেন আপিল বিভাগ। পরে মালিকরা এ আদেশের রিভিউ চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান।
 
এ দু’টি আবেদনই শুনানির জন্য ৩০ মার্চের কার্যতালিকায় আসার পর আপিল বিভাগ বলেছেন, ট্যানারি ক্লোজ ডাউন করে আসার পর ৯ এপ্রিল দু’টি আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।

এর মধ্যে গত ৮ এপ্রিল হাজারীবাগে থাকা ট্যানানিগুলোর গ্যাস, বিদ্যুৎ,পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয় পরিবেশ অধিদফতর।
 
পরদিন ৯ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাজারীবাগে থাকা ট্যানারিগুলোর দৈনিক ১০ হাজার টাকা  এবং বকেয়া প্রায় ৩১ কোটি টাকা জরিমানা মওকুফ করে দেন। তবে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
 
এছাড়াও হাজারীবাগ থেকে স্থানান্তরের পর ওইসব কারখানার মালিকরা যদি কারখানা অন্যকাজে ব্যবহার করতে চায় তাহলে পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নিয়ে সেখানে গ্যাস, বিদুৎ, পানির সংযোগ দেওয়া যাবে বলেও উল্লেখ করা হয় আপিল বিভাগের আদেশে।  
 
মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপিতে যেসব নির্দেশনা দিয়েছেন তা হলো- ১৫৫টি ট্যানারির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে সাত দিনের মধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে জমা দিতে হবে। মন্ত্রণালয় উক্ত অর্থ হাজারীবাগের শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করবেন।
 
‘আর যেদিন ট্যানারি বন্ধ হয়েছে সেদিন পর্যন্ত কর্মরত শ্রমিকদের ম‍জুরি একমাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে মজুরি আদায়ে হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা চাইতে পারবে। ’
 
তিনি বলেন, হাজারীবাগ থেকে সাভারের স্থানান্তরিত  ট্যানারিতে ধলেশ্বরী নদীতে যাতে দূষণ না হয়, সে ব্যাপারে বিসিককে পদক্ষেপ নিতে হবে। যদি দূষণ হয় তাহলে বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখবেন আদালত।
 
‘সাভারে যেসব ট্যানারি স্থানান্তির হয়েছে তাদের বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির সংযোগ সাতদিনের মধ্যে দিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন মনজিল মোরসেদ।
 
আদালতে ট্যানারি মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আমিরুল ইসলাম,ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী।  

আর অপরপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৫ , ২০১৭
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।