ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘সরকার-প্রধান বিচারপতির মধ্যে ব্রিজ অ্যাটর্নি জেনারেল’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
‘সরকার-প্রধান বিচারপতির মধ্যে ব্রিজ অ্যাটর্নি জেনারেল’

ঢাকা: নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় পেয়েছে সরকার।

রাষ্ট্রপক্ষের দুই সপ্তাহের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (১৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ ‘নট দিস উইক’ আদেশ দেন।
 
অর্থাৎ এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহে আর কোনো শুনানি হবে না।

আইনজীবীরা বলছেন, এ আদেশের ফলে সরকার আরও এক সপ্তাহ সময় পেল।
 
সকালে শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম দুই সপ্তাহ সময় চেয়ে আবেদন জমা দেন।
 
তখন মাহবুবে আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন,‘সব সময় মনে রাখবেন সরকার ও প্রধান বিচারপতির মধ্যে ব্রিজ হলেন অ্যাটর্নি জেনারেল’।
 
এরপর আদালত ‘নট দিস উইক’ আদেশ দেন।
 
এর আগে গত ০২ জুলাই দুই সপ্তাহ সময় আবেদন করলে প্রধান বিচারপতি তা মঞ্জুর করে বলেছিলেন ‘এটিই লাস্ট চান্স। ’
ওইদিন এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রীও ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে গেজেট হওয়ার আশা প্রকাশ করেছিলেন।

এর মধ্যে রোববার (১৬ জুলাই) বিকালে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বৃহস্পতিবার (১৯ জুলাই) বিধিমালা নিয়ে বৈঠক হবে। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্তের পর রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করা হবে।
 
গত ১৫ মে ও ২৯ মে আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশে দুই সপ্তাহ করে সময় দিয়েছিলেন।

গত বছরের ০৮ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্তবিধিমালার গেজেট প্রকাশ না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ১২ ডিসেম্বরহাজির করতে  নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

এর মধ্যে ১২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে সিদ্ধান্ত দেন রাষ্ট্রপতি।
পরে অবশ্য দুই সচিব আদালতে হাজির হওয়ার পর গেজেট প্রকাশে সময় দেন আদালত।

১৯৯৯ সালের ০২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেনের মামলায় (বিচার বিভাগ পৃথককরণ) ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের ভিত্তিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিলো।

আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর গত বছরের ০৭ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি খসড়া শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি প্রস্তুত করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠায়।
গত বছরের ২৮ আগস্ট শুনানিকালে আপিল বিভাগ খসড়ার বিষয়ে বলেন, শৃঙ্খলা বিধিমালা সংক্রান্ত সরকারের খসড়াটি ছিলো ১৯৮৫ সালের সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালার হুবহু অনুরূপ। যা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরিপন্থী।

এর পরই সুপ্রিম কোর্ট একটি খসড়া বিধিমালা করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠান।

পরবর্তীতে গেজেট প্রকাশে আরও কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে নেন রাষ্ট্রপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।