ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিম ছোড়ার ঘটনায় জড়িতদের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট বার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
ডিম ছোড়ার ঘটনায় জড়িতদের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে: সুপ্রিম কোর্ট বার

ঢাকা: ২০১৬ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে হট্টগোল ও এক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিচারপতিকে লক্ষ্য করে ডিম ছুঁড়ে মারার সঙ্গে জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্যপদ বাতিল হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর এমন তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

ওই রায়ে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল তার পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান বাকবাকুম করে ক্ষমতা নিয়ে নিলেন তথা রাষ্ট্রপতির পদ দখল করলেন। একবারও ভাবলেন না, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। সরকারি কর্মচারী হয়ে কীভাবে তিনি আর্মি রুলস ভঙ্গ করেন। ভাবলেন না তার শপথের কথা।

এতে জিয়াউর রহমানের প্রতি বিরূপ মন্তব্যের অভিযোগ এনে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিচার কাজ চলা অবস্থায় বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি কাজী ওয়ালিউল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে হট্টগোল ও ডিম ছোড়ার ঘটনা ঘটে।

এমন পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা সাক্ষাত করেন।

সেখান থেকে বেরিয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করেছিলাম। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে। আদালত চলাকালীন কিছু আইনজীবী, মুখোশ পরা, ডিম ছুড়ে মারছিল। আমরা মনে করি চট্টগ্রামের ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে ধারাবাহিকতায় এটা সুপ্রিম কোর্ট ও বিচার বিভাগে আতঙ্ক সৃষ্টি করার প্রয়স। এই দুর্ঘটনা শুধু সুপ্রিম কোর্ট নয়, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা প্রতি একটা হুমকি। প্রধান বিচারপতি তার উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এটা কঠিনভাবে দেখা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আমরা সবাই একমত হয়েছি। এ জন্য আমরা (সুপ্রিম কোর্ট বার) একটা তদন্ত কমিটি করবো। সিসিটিভি ফুটেজ আছে। কোর্টে আইনজীবীও ছিল। সেটার বেসিসে রিপোর্ট দিবে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে তাদের মেম্বারশিপ বাতিল হতে পারে। এমনকি বার কাউন্সিলের সনদ বাতিল হতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন এ ধরণের ঘটনা বরদাশত করে না। যে দলের হোক না কেন। এ রকম পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের সুনাম ক্ষুণ্নের পাশাপাশি পলাতক স্বৈরাচারের ইন্ধন থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। আমরা খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২৪
ইএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।