বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ রায় দেন। রনি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার শীলাস্থান গ্রামের সরকার বাড়ির শাহজাহানের ছেলে।
নিহত সাহেব আলী ওই বাড়ির ওমেদ আলী সরকারের ছেলে। তিনি স্থানীয় মসজিদে ইমামতি করতেন এবং মক্তবের শিক্ষক ছিলেন। সাহেব আলী সম্পর্কে রনির জেঠাতো ভাই।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সাহেব আলী স্থানীয় মধ্যপাড়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসায় শিশুদের পাঠদান করছিলেন। এসময় রনি মাদ্রাসায় ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তাই মৃত্যু হয়। শিশুরা চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন রনিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
ওইদিনই সাহেব আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম রনিকে আসামি করে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
নিহতের আত্মীয় হারুনুর রশিদ বলেন, সাহেব আলীর মেয়ে হাসিনা আক্তারকে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন রনি। সম্পর্কে ভাতিজি হওয়ায় সাহেব আলী এ প্রস্তাবে রাজি হননি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রনি এ ঘটনা ঘটায়।
সরকারপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আমান উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীণ সময়ের কচুয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তফা চৌধুরী একই বছরের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামি তার অপরাধ স্বীকার করায় এ রায় দেন।
সরকারপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) ছিলেন মোক্তার আহম্মেদ অভি এবং আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কামাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
আরবি/