বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা শুরু করেন। বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে প্রথম দিনের মতো এ রায় পড়া শুরু হয়েছিল।
বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও রায় ঘোষণাকালে উপস্থিত রয়েছেন নিহত তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, তার আইনজীবী ড. কামাল হোসেন ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ হাইকোর্টে এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সাক্ষ্যে তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ মোট ৭ কোটি ৭৬ লাখ ২৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা বলেছেন।
আদালতে ক্যাথরিন মাসুদের পক্ষে সাতজন, বাস মালিক সমিতির পক্ষে পাঁচজন ও রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পক্ষে একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে।
এরপর ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি নিহতদের পরিবারের সদস্যরা মানিকগঞ্জে মোটরযান অর্ডিনেন্সের ১২৮ ধারায় বাসমালিক, চালক ও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে দু’টি মামলা করেন।
সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে এ দু’টি মামলা হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করা হয়।
তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও ছেলে সুহৃদ মুনীর দু’টি আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ রুলের শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর দুই আবেদন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
পরে বিচারপতি জিনাত আরার নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে মামলা দু’টি শুনানির জন্য আসে। এর মধ্যে তারেক মাসুদের মামলার শুনানি শেষ হয়। অপরটির শুনানি ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৭
এমএ/এইচএ/