ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘পলিন হত্যা মামলার আসামিকে কেন সাময়িক বরখাস্ত নয়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৮
‘পলিন হত্যা মামলার আসামিকে কেন সাময়িক বরখাস্ত নয়’

ঢাকা: ময়মনসিংহের গার্লস ক্যাডেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শার্মিলা শাহরিন পলিন হত্যার অভিযোগে বিচারাধীন মামলার আসামি সেনা প্রশিক্ষণ পরিদফতরের ইস্ট বেঙ্গল জেনারেল স্টাফ অফিসার লে. কর্নেল মো. নাজমুল হককে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
 

এ বিষয়ে করা পলিনের বাবার রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (০৮ জানুয়ারি) এ রুল জারি করেন।
 
১০ দিনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতের এই আদেশ স্পেশাল ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
 
পলিনের বাবা আবুল বাশার পাটোয়ারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। এ সময় আদালতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সরোয়ার হোসেনও তার মতামত দেন।
 
ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে ২০০৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শর্মিলা শাহরিন পলিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার দিনই ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেন কলেজের অধ্যক্ষ খাদেমুল ইসলাম।  

তবে একই বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি পলিনের পিতা আবুল বাশার পাটোয়ারী ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে কারো নাম উল্লেখ না করে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।  

আদালত বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৩ সালের ২২ মে বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ ময়মনসিংহের জজ আদালত নাজমুল হকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।  

অন্য চার অভিযুক্ত হলেন-ক্যাডেট কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবুল হোসেন, নন কমিশন অফিসার মো. নওশেরুজ্জামান, হোস্টেলের আয়া হেনা বেগম ও মেজর মনির আহমেদ চৌধুরী। ৫ আসামির মধ্যে নাজমুল হকসহ ৪ জন জামিনে রয়েছেন। মেজর মনির পলাতক।
 
নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠন আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে আসামিপক্ষ। আদালত ২০১৬ সালের ১ জুন পলিন হত্যা মামলার বিচার কাজ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন ও রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে গতবছর ৬ এপ্রিল তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট।  

একই সঙ্গে মামলার বিচার কাজের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদালত গতবছর ৮ মে এক আদেশে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে আসামিপক্ষের আবেদনের উপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি শেষে গতবছর ৫ জুন তা খারিজ করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মামলার বিচার কাজের ওপর দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০১৮
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।