বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি এ কে এম সাহিদুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কারণে ওই বিষয় নিয়ে তিন ছাত্রীর করা রিট আবেদনের শুনানি ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।
তিন শিক্ষকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট এএফ হাসান আরিফ।
বুধবার তিন শিক্ষকের পক্ষে মৌখিক সময় আবেদনে শুনানির পরবর্তী দিন নির্ধারণ করে আদেশ দেন আদালত।
আদালত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন বিবেচনায় আপনারা অভিযোগকারী তিন ছাত্রীকে দোষারোপ করলেন? অভিযোগকারী হয়ে উল্টো আসামি হয়ে গেলো।
আদালত আরও বলেন, তদন্ত কমিটিতে একজন নারী সদস্য আছেন। কিন্তু তাকে তো নারীবান্ধব বলে মনে হয় না। তদন্তকারীরা তো ইউনিয়নের মতো সাক্ষী বিশ্লেষণ করেছেন। এটা কি বিভাগীয় অনুসন্ধান হলো?
তিন শিক্ষক হলেন, তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. কামরুল আহসান, যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও কমিটির সদস্য ড. মো. মাকসুদ হেলালী এবং পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রওশন মমতাজ।
২০১৫ সালে র্যাগিংয়ে ইভটিজিংয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে তিন ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিষয়ক একটি শাস্তি দেওয়া হয়।
এর বিরুদ্ধে ওই সময় তিন ছাত্রী হাইকোর্টে রিট করেন। তাদের পক্ষের আইনজীবী আলতাফ হোসেন জানান, র্যাগিংয়ের সময় ওই তিন ছাত্রী এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে। ওই কমিটি একই বছরের ৩ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দেয়। এদিকে তারা বিভিন্ন চাপে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিলেও ২৭ জুলাই তাদের শাস্তি দেওয়া হয়। ফলে শাস্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে ওই বছরের আগস্টেই হাইকোর্ট তাদের শাস্তি স্থগিত করে রুল জারি করেন।
সেই রুলের শুনানি শেষে ১৮ জানুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বুয়েটের আইনজীবীর উপস্থাপিত ওই তদন্ত প্রতিবেদনে ইভটিজিংয়ের ঘটনায় সত্যতা মেলে। এ কারণে প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির তিন সদস্যকে তলব করেন হাইকোর্ট।
সেই আদেশ অনুসারে ২৪ জানুয়ারি শিক্ষকরা হাজির হন হাইকোর্টে। এরপর থেকে প্রতিটি শুনানির দিনে তিন শিক্ষককে হাজির থাকতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/