এ বিষয়ে জারি করা রুল শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০০৯ সাল থেকে একটি বাড়ি একটি খামার নামে একটি প্রকল্প চালু করেসরকার। পরবর্তীতে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক নামে একটি বিশেষায়িত ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক আইন, ২০১৪ পাস করা হয়।
ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতায় একটি বাড়ি একটি খামার শীর্ষক প্রকল্প দেশের গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করা, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিসহ নারীর ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখছে।
এছাড়া গ্রাম সংগঠন সৃজন, তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান, তহবিলের জোগান এবং ঋণদানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনেও এটি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। আর একার্যক্রমের প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং তাদের সঞ্চয়, অর্জিত লেনদেন ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঋণ এবং বিনিয়োগের জন্য বিশেষায়িত পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এরপর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক চাকরি প্রবিধাণমালা ২০১৫ চূড়ান্ত করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
২০১৬ সালের মন্ত্রণালয় আলাদা দু’টি আদেশ জারি করে পল্লী উন্নয়ন ব্যাংক একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত মাঠ সহকারীদের চাকরি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তর করে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে এ ব্যাংক তাদের বেতন দেয়।
এর মধ্যে ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চলমান থাকবে বলে পুনরায় দাপ্তরিক আদেশ জারি করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এরপর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মরত সব কর্মচারীকে পুনরায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে স্থানান্তর করা হয়।
ওই স্থানান্তর আদেশের পর মাঠ সহকারীদের ২৮৭ জন ব্যক্তি তাদের চাকরি পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকে স্থানান্তরের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক তিনটি রিট দায়েরকরেন। সেই রিটের চূড়ান্ত রায় আসে বৃহস্পতিবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
ইএস/এমএ