শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হকের স্বাক্ষরে এ প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
এতে বলা হয়, ‘সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন।
এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
এর আগে, দুপুরে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আগামীকাল (শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় শপথ অনুষ্ঠিত হবে। ’
গত বছরের ১০ নভেম্বর সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়ার পর পদটি শূন্য হয়ে যায়। এর আগে অক্টোবরে অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নেন তিনি।
ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা। নিয়োগ পাওয়ার ফলে শপথের পর থেকেই এ দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর জন্ম নেওয়া সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি পদে থাকবেন।
বিএসসি ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে দু’টি কোর্স সম্পন্ন করা সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ১৯৮৩ সালে হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ১৯৯৯ সালে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের ২২ ফ্রেব্রুয়ারি নিয়োগ পান অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। দুই বছর পর ২০০৩ সালে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হন। আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে তিনি নিয়োগ পান ২০১১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এমআইএইচ/ইএস/এইচএ/
** প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, শনিবার শপথ