আর বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তার পদত্যাগকে আমি শ্রদ্ধা করি। তার কারণ হলো তিনি বলেছেন, অনিবার্য ব্যক্তিগত কারণে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
শুক্রবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনকে নতুন প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপর সন্ধ্যায় পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা।
শনিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে লেখা আছে, রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিবেন। সেই ক্ষেত্রে তিনি বিচার বিশ্লেষণ করে যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হওয়ার মতো উপযুক্ত মনে করেছেন তাকেই তিনি নিয়োগ দিয়েছেন। এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার এবং আমি সেটাকে শ্রদ্ধা করি। ’
বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ নিয়োগের পরে যিনি অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি ছিলেন, যিনি জ্যেষ্ঠ বিচারপতি, তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হননি। সে কথা তিনি লিখেন নাই, কিন্তু তিনি পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগকেও আমি শ্রদ্ধা করি। ’
‘তার কারণ হলো তিনি বলেছেন, অনিবার্য ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছেন। এটা যেহেতু তার এখতিয়ার তার পদত্যাগের ব্যাপারে আমার কিছু বক্তব্য নাই। ’
আনিসুল হক বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি তিনি মহামান্য রাষ্ট্রপতির যে সিদ্ধান্ত সেটাকে শ্রদ্ধা করতে পারতেন। যেমন আমরা সকলেই সেটাকে শ্রদ্ধা করি। শুধু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে কারণেই যে শ্রদ্ধা করি তা নয়, এটা মহামান্যের একমাত্র এখতিয়ার। ’
‘ক্ষমতাটা মহামান্য রাষ্ট্রপতির, সে জন্য এবং এ সিদ্ধান্ত আসার সময় নিশ্চয়ই তিনি বিচার বিশ্লেষণ করে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যে বিচার বিভাগ আরও সমৃদ্ধ হলো। আমার মনে হয় এতে বিচার বিভাগের যে স্বাধীনতা সেটা অক্ষুণ্ণ থাকবে,’ বলেন আইনমন্ত্রী।
হাইকোর্ট বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘খুব শিগগিরই দেখবেন হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগ হবে। প্রধান বিচারপতি আজ (শনিবার) শপথ নেবেন। আমার মনে হয় তিনি শপথের পরে নিশ্চয়ই এ নিয়োগের ব্যাপারে তৎপর হয়ে যাবেন। ’
নতুন প্রধান বিচারপতির কাছে প্রত্যাশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এর আগে যে প্রধান বিচারপতি (বিচারপতি এসকে সিনহা) ছিলেন, তিনি যেভাবে বিচার বিভাগকে রাজনীতিকরণ করার চেষ্টা করছিলেন এবং তিনি যেভাবে বিচার বিভাগকে কলুষিত করেছেন সেখান থেকে বিচার বিভাগকে আমাদের বর্তমান প্রধান বিচারপতি নিশ্চয়ই বিচার বিভাগকে আরও উন্নত সমৃদ্ধশালী করবেন। যেটা অস্থায়ী বিচারপতির আমলেও কিছুটা হচ্ছিল। ’
‘আপনারা যেটা দেখছেন যেসব সমস্যা জিইয়ে রাখা হচ্ছিল, সমাধান করা হচ্ছিল না, রাজনীতিকরণের চেষ্টা হচ্ছিল সেগুলো অস্থায়ী প্রধান বিচারপতির সময়ে অনেকগুলো সমাধান করতে পেরেছি। ’
নতুন প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সমন্নুত রাখবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন আইনমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৮
ইএস/এমএ