বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের আদালতে এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ‘পুলিশ হেফাজতে থাকা’ এক ব্যক্তিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়ার ঘটনায় ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহানকে বদলির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে ওসি শাহজাহান আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করলেও তা স্থগিত না করে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়। যেটি এখনও বিচারাধীন।
মনজিল মোরসেদ বলেন, যেহেতু হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়নি, তাই সে আদেশ তামিল করতে হবে। কিন্তু তা না করায় এ আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে মনজিল মোরসেদ বলেন, কারাবন্দি বেলাল উদ্দিনকে অন্য একটি মামলায় ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে চালান করে পুলিশ। কিন্তু ১৪ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেখানো হয়, ওই দিন ১২টা ১০ মিনিটে ২ পুরিয়া গাঁজাসহ তাকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
এতে বোঝা যায়, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেলাল উদ্দিনকে সাজা দেন। যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজা কেন বাতিল করা হবে না, এ আদালতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং বেলাল উদ্দিনকে কেন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম, ওসি মো. শাহজাহান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খান ও ওয়াসিমকে তলব করেন হাইকোর্ট। পরে তারা হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করার পর ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওসিকে বদলির নির্দেশ দিয়ে ভবিষ্যতে ম্যাজিস্ট্রেটকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানোর সময় সতর্ক থাকতে বলে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে চারজনকে অব্যাহতি দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইএস/এসআই