আবদুল হকের দায়ের করা এক রিট (হেবিয়াস কর্পাস) আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।
ওই দুই শিশুকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হাজিরে গোলাপগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও শিশু দু’টির মা সাবিনা বেগমকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
২০০৫ সালে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ইলাশপুর গ্রামের কুতুব আলীর ছেলে আবদুল হকের সঙ্গে গোলাপগঞ্জের খাটকাই গ্রামের আমিনুর রশিদের মেয়ে সাবিনা বেগমের বিয়ে হয়। এরপর তারা যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর ২০০৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আনিশা হক এবং ২০০৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আবিদুল হক নামের দু’টি সন্তানের জন্ম হয়। পরবর্তীতে দাম্পত্য জীবনে কলহের পর সাবিনা বেগম সন্তানদের নিয়ে দেশে ফেরেন। কিছু সময় যোগাযোগ থাকলে পরবর্তীতে সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে হাইকোর্টে রিট করেন আবদুল হক।
রিটে দুই সন্তানকে হাইকোর্টে হাজিরের আবেদন (হেবিয়াস কর্পাস) করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। তিনি বলেন, আদালত ওই দুই শিশুকে ২৫ ফেব্রুয়ারি হাজিরে গোলাপগঞ্জের ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুলও জারি করেছেন।
রুলে অবৈধভাবে সাবিনা বেগমের কাছে আটক থাকা আবেদনকারীর দুই সন্তানকে কেন আদালতে হাজির করা হবে না এবং দুই সন্তানকে কেন আবেদনকারীর জিম্মায় দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও গোলাপগঞ্জের ওসি এবং সাবিনা বেগমকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বাংলাদশে সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইএস/জেডএস