ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হলি আর্টিজান: চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি ৮ আগস্ট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
হলি আর্টিজান: চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি ৮ আগস্ট

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (৩০ জুলাই) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ দিন ধার্য করেন। ওইদিন মামলার সব আসামিকে আদালতে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই ২১ জনকে চিহ্নিত করে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছেন আর জীবিত আছেন আট জন। এর মধ্যে ছয়জন কারাগারে ও দু’জন পলাতক।

বিভিন্ন অভিযানে নিহত আট আসামি হলেন- তামিম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

আর হলি আর্টিজানে সেনাবাহিনীর অপারেশন থান্ডারবোল্টে ঘটনাস্থলেই নিহত পাঁচজন হলেন- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

জীবিত অভিযুক্ত আটজনের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা ওরফে র‌্যাশ ।  

এছাড়া পলাতক দুই আসামি হচ্ছেন শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

এদিকে হামলার পরদিন সকালে হলি আর্টিজান বেকারি থেকে গ্রেফতার নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি। তাকে মামলায় দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে (স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ) হামলা চালানো হয়। এতে ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা।

এর আগে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায় জঙ্গিরা। গ্রেনেড হামলায় ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ নিহত হন।

পরে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। অভিযানে অংশ নেওয়া পাঁচ জঙ্গির সবাই নিহত হন।

হলি আর্টিজান হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরীকে।  

২০১৬ সালের ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে দুই সহযোগীসহ নিহত হন তামিম। রায়হান কবির তারেক ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে আট সহযোগীসহ নিহত হন।

সেনাবাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ ২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর মিরপুরের রূপনগরে সিটিটিসি’র জঙ্গিবিরোধী অভিযানে মারা যান। হামলাকারীদের আশ্রয়দাতা তানভীর কাদেরী ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর আজিমপুরে এক অভিযানে নিহত হন।

হামলার পরিকল্পনায় অন্যতম সহযোগী সরোয়ার জাহান মানিক ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর আশুলিয়ায় র‌্যাবের অভিযান চলাকালে পালাতে গিয়ে পাঁচতলা থেকে নিচে পড়ে মারা যান।

নুরুল ইসলাম মারজান ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় সিটিটিসি ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক সহযোগীসহ নিহত হন।  

বাশারুজ্জামান ওরফে চকোলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে সিটিটিসি’র অভিযানে নিহত হন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৮
এমআই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।