সোমবার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাহমুদ বারহাট্টা উপজেলার আসমা ইউনিয়নের কৈলাটি গ্রামের মৃত মোফাজ্জল খাঁ’র ছেলে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ইফতেখার উদ্দিন মাসুদ বাংলানিউজকে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ২০১১ সালের ২৫ মে রাতে মাহমুদ তার দ্বিতীয় স্ত্রী শাহানা খাতুনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ২৬ মে মাহমুদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন শাহানার বড় ভাই মো. মামুন মীর। হত্যায় ইন্ধনদাতা হিসেবে মাহমুদের প্রথম স্ত্রী সুফিয়া, শ্বশুর সুরুজ আলী, শ্যালক জব্বার, মা তারাবানু, চাচা শ্বশুর জালাল ও চাচি শাশুড়ি সামছুন্নাহারকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।
পুলিশ তদন্ত করে ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর মাহমুদ, তার প্রথম স্ত্রী সুফিয়া ও মা তারাবানুর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। দীর্ঘ শুনানি, সাত সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সোমবার আদালত মাহমুদকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
অপরদিকে, অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় মাহমুদের স্ত্রী সুফিয়া ও মা তারাবানুকে খালাস দেওয়া হয়। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মানবেন্দ্র বিশ্বাস উজ্জ্বল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসআই