মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে পিরোজপুরের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাফায়েত চৌকিদার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল হাকিম চৌকিদারের ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ৪ জুলাই সাফায়েত চৌকিদারকে একটি মামলায় ইন্দুরকানি থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের নির্দেশে কারাগার থেকে একদিনের রিমান্ডে নেন। জিজ্ঞাসাবাদে সাফায়েত চৌকিদার স্বীকার করেন তার কাছে দেশীয় তৈরি একটি পাইপগান ও গুলি রয়েছে। ওই দিন রাতে ইন্দুরকানি থানা পুলিশ সাফায়েত চৌকিদারের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে তার বাড়ির রান্নাঘরের সামনের মাটি খুঁড়ে একটি দেশীয় তৈরি পাইপগান ও তিনটি বন্দুকের গুলি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ইন্দুরকানি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে সাফায়েত চৌকিদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করেন। ওই বছরের ২৪ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্দুরকানি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মোতাহার হোসেন সাফায়েতের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় সাফায়েত আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌসুলি (এপিপি) শারমিন সুলতানা। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৮
আরএ