বুধবার (১০ অক্টোরব) দুপুরে হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. আমজাদ হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অরবিন্দু নবীগঞ্জ উপজেলার চৌকি গ্রামের মনীন্দ্র দাশের ছেলে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন-চৌকি গ্রামের মৃত অক্ষয় দাশের ছেলে অনীল দাশ (৪২) ও সুনীল দাশ (৪৮), একই গ্রামের নৃপেন্দ্র দাশের ছেলে নীরেশ দাশ (২৫), সঞ্জু দাশের ছেলে সুবেন্দ দাশ (২৫), মৃত নারায়ণ দাশের ছেলে প্রদীপ দাশ (৪০), নিবারণ দাশের ছেলে নেপাল দাশ (২৮), মনীন্দ্র দাশের স্ত্রী বিপুলা রাণী দাশ (৫৫) ও তার ছেলে মলয় দাশ (৩২)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে বানিয়াচং উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামের প্রবাসী নকুল দাশের ছেলে সত্যজিৎ দাশ (১৪) চৌকি গ্রামে কীর্তন দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এর চারদিন পর ১৫ ফেব্রুয়ারি চন্ডীপুর গ্রামের শ্মশানের পার্শ্ববর্তী ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সত্যজিতের বোন অলিকা রাণী দাশ বাদী হয়ে চৌকি গ্রামের অরবিন্দুসহ ওই নয়জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি মামলায় অভিযোগ করেন, আসামিরা পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তার ভাইকে হত্যা করেছেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মার্কুলী পুলিশ ফাঁড়ির সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হক নয়জনকেই অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার এ রায় দেন আদালত।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হবিগঞ্জ জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি হয়েছে। রায়ে বাদীপক্ষের পরিবারও আনন্দিত।
অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবালসহ কয়েকজন আইনজীবী আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসআই