বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম নাছিম রেজা এ রায় দেন। দণ্ডাপ্রাপ্তরা হলেন জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে সাকিউর চৌধুরী এবং একই গ্রামের রমিজ মিয়ার ছেলে গাজীউর চৌধুরী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, হত্যার শিকার বাছিত চৌধুরী শিবপাশা গ্রামের মৃত বদিউজ্জামান চৌধুরীর ছেলে। ২০১৩ সালের ৯ জুন রাত ১০টার দিকে বাছিতকে বাড়ি থেকে ডেকে একই গ্রামের মুন্সি হাটিতে নিয়ে যান সাকিউর ও গাজিউর। পরে তারা কয়েকজনের সহযোগিতায় বাছিতকে হত্যা করে মরদেহ হাওরের নাইয়াহারা বিলের পানির নিচে পুঁতে রাখেন। এদিকে, বাছিতের কোনো খোঁজ না পেয়ে তার ভাই জিশু মিয়া চৌধুরী ১৩ জুন আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর পুলিশ সাকিউর ও গাজিউরকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যা ও মরদেহ গুম করার কথা স্বীকার করেন। ২৪ জুন পুলিশ বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। ওই দিনই জিশু মিয়া চৌধুরী ওই দু’জনসহ ১২ জনকে আসামি করে আজমিরীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে আজমিরীগঞ্জ থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদুর রহমান ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় বুধবার দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারক। আর অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিদের বেখসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় সাউকিউর চৌধুরী আদালতে উপস্থিত থাকলেও গাজিউর পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক।
তিনি বলেন, যারা ঘটনার নায়ক ছিল তাদের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এতে ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
এসময় মামলার বাদী জিশু চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।
বাংলাদশে সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
এসআই