বুধবার (০৭ নভেম্বর) রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা আফজাল হোসেনের পক্ষে নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
নোটিশে পাঠাও সার্ভিসের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং তা কোন আইন বলে, তা তিন দিনের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।
পাঠাও লিমিটেড, প্রধান নির্বাহী এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা বরাবরে এ নোটিশ পাঠানো হয়।
রেজিস্ট্রি ডাকযোগে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তানজিম আল ইসলাম।
নোটিশে বলা হয়, আফজাল হোসেন পাঠাও এর বাইক সার্ভিসে যাতায়াতের জন্য বাংলামোটর থেকে গন্তব্যসস্থল শেওড়াপাড়া নির্ধারণ করলে ডিসকাউন্ট ব্যতীত ভাড়া ১০৫ টাকা প্রদর্শন করে। এটি কনফার্ম করে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার পর ১৭৩ টাকা দাবি করে চালক। বাধ্য হয়ে তা পরিশোধ করতে হয়। কিছুদিন পরে ফের এ রকম ঘটনা ঘটে। ১২১ টাকা কনফার্ম করে রোকেয়া স্মরণি থেকে বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে এলে চালক ১৪৯ টাকা দাবি করে।
'পাঠাও লিমিটেড নিয়মিতভাবে তাদের চালকদের দিয়ে ব্যবহারকারী যাত্রীদের উপরোক্ত কৌশলে হেনস্থার স্বীকার করে তাদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। '
এমতবস্থায়, নোটিশ প্রাপ্তির তিন দিনের মধ্যে যথাযথ ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন। একইসঙ্গে পাঠাওয়ের চালকরা যেন ভোক্তাদের এরুপ কোনো অন্যায় দাবি না করে এবং এহেন প্রতারণা না করতে পারে এ ব্যাপার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এছাড়া পাঠাও সার্ভিসের ভাড়া কিভাবে নির্ধারণ করা হচ্ছে এবং তা কোন আইন বলে, সেটিও সুস্পষ্টভাবে জানানোর অনুরোধ করা যাচ্ছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৮
ইএস/এসএইচ