বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামলায় দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন ( মানিক)।
পরে এ দুই আইনজীবী জানান, রিভিশন মামলা রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশ তুলে দিয়েছেন এবং রায়ে ৬ মাসের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব মামলটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, খুলনা আয়কর বিভাগের আয়কর উপদেষ্টা মো. শহীদুল আলম অসৎ উদ্দেশ্যে আয়কর নথির ক্ষেত্রে প্রকৃত করদাতার অজ্ঞাতে ভুয়া ওকালতনামার মাধ্যমে করদাতা মেসার্স জহুরুল হক, তুলাপট্টি, খুলনা বাজার খুলনার প্রতিনিধি সাজিয়ে করদাতার পক্ষে কাগজপত্র দাখিল ও নোটিশ গ্রহণ ও রিফান্ড ভাউচার নং ০২৪৯৭৯, ০২৫২৩৮, ০২৪৯৮০, ০২৫৩৩৫২, ০২৫২৩৯, ০২৪৯৮১, ০২৫৩৫৩ মূলে মোট ৭,১১,৫৭৯/= (সাত লাখ এগার হাজার পাঁচ শত উনআশি) টাকার ভাউচার গ্রহণ করেন।
পরে অসৎ উদ্দেশ্যে আসামি মো. নাজির হোসেনের শনাক্তমতে অগ্রণী ব্যাংক, কেডিএ, নিউমার্কেট শাখা খুলনায় ভুয়া ব্যক্তিকে জহুরুল হক সাজিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে চলতি হিসাব নং ১৫০৩ ও অন্যান্য হিসাব খুলে রিফান্ড ভাউচারের বিপরীতে পিএল চেকের মাধ্যমে ওই টাকা জমা প্রদানপূর্বক উত্তোলন করতঃ পরস্পর যোগসাজসে আত্মসাত করে।
বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা আবদুল্লা আল জাহিদ রিভিশনকারীসহ তিনজনকে আসামি করে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানায় ২০০১ সালের ৩ আগস্ট তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ চার্জ গঠন করলে আসামি পক্ষে হাইকোর্টে রিভিশন মামলা দায়ের করেন। পরে হাইকোর্ট ২০১৫ সালের ১১ আগস্ট রুল জারি করেছেন বলে জানান আমিন উদ্দিন মানিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৮
ইএস/এসএইচ