এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মইনুল হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুলসহ এ আদেশ দেন।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) প্রতি এ আদেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব।
তিনি জানান, রুলে হাইকোর্ট পর্নোগ্রাফিযুক্ত সব ওয়েবসাইট স্থায়ীভাবে কেন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন এবং ফেসবুক ও সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বয়স নির্ধারণের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর (আইডি) সংযুক্তিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং মোবাইল অপারেটরগুলোর পক্ষ থেকে ইন্টারনেটের স্বল্পমেয়াদী ইন্টারনেটের লোভনীয় অফার বন্ধে কেন নির্দশনা দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, বিটিআরসি এবং সব মোবাইল অপারেটরসহ সংশ্লিষ্ট নয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
হুমায়ুন কবির আরও জানান, ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’র এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীতে ৭৭ শতাংশ স্কুলগামী শিক্ষার্থী পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেটে প্রবেশ সহজলভ্য হওয়ায় আমাদের যুব সমাজ পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা এর দ্বারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং তারা স্কুলে পড়াশোনা বাদ দিয়ে পর্নোগ্রাফি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। যা জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বয়ে আনবে। এছাড়াও পর্নোগ্রাফির ফলে ধর্ষণসহ বিভিন্ন যৌন অপরাধে তারা উদ্বুদ্ধ হয়। তাই এসব ওয়েবসাইট বন্ধ হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আরও বলেন, রিটের শুনানিতে আমরা আদালতে বলেছি, ইতোমধ্যে ভারতে ৮৫৭টি পর্ন ওয়েবসাইট বন্ধ রাখা হয়েছে। ওই দেশের মোবাইল অপারেটরগুলোও পর্নমুক্ত। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে রুলসহ আদেশ দিয়েছেন।
গত ১১ নভেম্বর মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন, চাঁদপুরের বাসিন্দা মো. রাসেল হোসেন এবং ময়মনসিংহের খায়রুল হাসান সরকার এ রিট দায়ের করেন।
রিটে বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ বিভিন্ন পত্রিকার ‘প্রযুক্তিতে আসক্ত শিশু-কিশোর’ এবং ‘ডিজিটাল কোকেন’-এ সর্বনাশ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৮
ইএস/আরআর