ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

টুকু-দুলুর প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
টুকু-দুলুর প্রার্থিতা নিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত

ঢাকা: বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগের নির্দেশ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত তা স্থগিত করে বুধবার (১২ ডিসেম্বর) শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।  

আদালতে টুকুর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি।

দুলুর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএফ হাসান আরিফ, ফিদা এম কামাল, আমিনুল হক হেলাল। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা।

ইসির পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

আরও পড়ুন>> বিএনপির টুকু-দুলুর প্রার্থিতা নিয়ে আপিলে ইসি

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগের নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া আদেশে আদালত বলেছেন, এ দুইজনের আসনে তাদের দলের যদি অন্য কোনো প্রার্থী থাকে এবং তারা যদি প্রত্যাহার করতে চায় সেটাও গ্রহণ করতে হবে।

হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ইসির পক্ষে আবেদন করা হয়।  

হাইকোর্টের আদেশের পর আজমালুল হোসেন কিউসি বলেছিলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর দুর্নীতির মামলায় সাজা হয়েছিলো। হাইকোর্টে আপিল করে জিতলাম। পরে দুদক আপিল করার পর আপিল বিভাগ পুনঃশুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগে পাঠান। যখন হাইকোর্টে ২০০৯ সালে এসেছিলাম তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪২৬ ধারা অনুসারে কনভিকশন ও সেন্টেন্স সাসপেন্ড করেছিলেন হাইকোর্ট। এ অর্ডারটা এখনও বহাল আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজকে জিতলাম। ওনার (টুকু) মনোনয়নপত্র গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তার নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই।

তিনি বলেন, একেকটি আসনে রাজনৈতিকভাবে কয়েকজনকে প্রার্থী করা হয়েছে। এখন যদি কোনো প্রার্থী ওনার আসনে প্রত্যাহার করতে চায় তাহলে সেটাও গ্রহণ করতে হবে।

সৈয়দ আল আশাফুর আলী রাজা বলেন, আজকের আদেশের ফলে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা নেই। ওনার (দুলুর) দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দণ্ড হয়েছিলো। যেটা হাইকোর্টে সাসপেন্ড হয়ে আছে।

এর আগে ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই করে নাটোর-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের বিএনপির প্রার্থী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মনোনয়ন বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।  

পরে তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। কিন্তু আপিলেও ঠেকেনি মনোনয়ন। শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিএনপির এই দুই প্রার্থী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।