বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
সাইফুল হকের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩১ মে হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
আমিন উদ্দিন মানিক জানান, ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের আড়ালে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, উক্ত বিনিয়োগের জন্য কনসালটেন্সি ফি বাবদ ২৫ হাজার মার্কিন ডলারসহ সর্বমোট ২০.০২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬৫ কোটি টাকা) এবি ব্যাংক লিমিটেডের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ), শাখা, ইপিজেড চট্টগ্রাম হতে দুবাইতে পাচার করে উক্ত পাচার করা অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে গোপন করে আত্মসাৎ করে। পাসপোর্টের জন্য আবেদনকারী মো. সাইফুল হক দুবাইতে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সদস্য খুররম আবদুল্লাহ ও আবদুস সামাদ খানের পরিচিত বন্ধু ও এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হকের পূর্ব পরিচিত।
তিনি টাকা আত্মসাতের জন্য মিডিয়া ম্যান হিসেবে কাজ করেন। বিষয়টি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান গত বছরের ২৫ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
খুরশীদ আলম খান জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল হকের পাসপোর্ট জব্দ করেন। পরে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে পাসপোর্ট ফেরত দিতে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন। এ আদেশের দুদক আপিলে আবেদনের পর তা স্থগিত করে রুল নিস্পত্তির নির্দেশ দেন। সে অনুসারে হাইকোর্টে রুল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তা খারিজ হয়ে যায়। ফলে সাইফুল হকের পাসপোর্ট জব্দই থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
ইএস/এএ