রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা জজ মো. আবু আহছান হাবিব ও অতিরিক্ত জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. গোলাম আযম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নগর বাথান গ্রামের ছবেদ মণ্ডলের ছেলে আহাম্মেদ মণ্ডল ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের হেরাজ মালিতার ছেলে আসমান মালিতা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণকান্দি গ্রামের নূর আলী মণ্ডলের ছেলে আহাম্মদ আলী। পরদিন সকালে তাকে পোলতাডাঙ্গা গ্রামের মাঠে গুলিবিদ্ধ ও যখম অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ৫ ফেব্রুয়ারি হরিণাকুণ্ডু থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বাবা নূর আলী। মামলার দুই আসামি মারা যাওয়ায় অপর আসামি আসমান মালিথাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক গোলাম আজম।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট সদর উপজেলার নগর বাথান গ্রামের আহাম্মেদ মণ্ডলের স্ত্রী নাজমা খাতুনকে অসুস্থ অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়। মামলার তদন্তে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে এলে পুলিশ স্বামী আহাম্মেদ মণ্ডলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে স্বামী আলীকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে পুলিশ। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে আদালত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
এসআরএস