সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের শাফায়েত হোসেনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন নান্টু। তার পাশের ঘরে ভাড়া থাকতেন রেহেনা বেগম নামে একটি মেয়ে। পাশাপাশি ঘর হওয়ায় নান্টু প্রায়ই মেয়েটিকে কু-প্রস্তাব দিতেন। এতে রাজি না হওয়ায় ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ রাতে নান্টু তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই সময় বাধা দেওয়ায় নান্টু তাকে পিটিয়ে আহত করেন। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এলে নান্টু পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার পাঁচ মাস পর রেহেনার মৃত্যু হয়।
এদিকে, ধর্ষণ ও পিটিয়ে আহত করার পরদিন বাড়ির মালিক শাফায়েত হোসেন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এপিপি অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল জানান, মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ নান্টুর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৯
এসআই