মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. খাদেম উল কায়েশ ভিকটিমের জেরা শেষ হলে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের এ দিন ধার্য করেন।
গত ৬ মে আসামি নাঈম আশরাফের পক্ষে আইনজীবী মাহবুবুর রহমান ও সাদমান সাকিবের পক্ষে তার আইনজীবী বাদীসহ ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে জেরা করেন।
২০১৭ সালের ৭ জুন পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা।
পরে ওই বছরের ১৯ জুন আসামিদের বিরুদ্ধ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ (১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ গঠন করা হয়।
অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তার বান্ধবী ও বন্ধুকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করে।
বাদী ও তার বান্ধবীকে জোর করে একটি কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তার বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আসামি সাদমান সাকিফকে দুই বছর ধরে চিনতেন মামলার বাদী। তার মাধ্যমেই ঘটনার ১০-১৫ দিন আগে সাফাতের সঙ্গে দুই ছাত্রীর পরিচয় হয়। ওই দুই ছাত্রী সেদিন সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রেইনট্রি হোটেলে যান।
এদিকে সাফাত আহম্মেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম ছাড়া বাকি আসামিরা জামিনে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এমএআর/এমএ