বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর কমিটি গঠনে নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আখতার ইমাম। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টের আদেশে সিন্ডিকেটের অনিয়ম তদন্তে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কমিটি গঠন করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ওই কমিটিতে দুদকেরও একজন প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
দুদক কমিটি থেকে তাদের প্রতিনিধির নাম প্রত্যাহার করতে আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু আদালত তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। আদালত দুদকের প্রতিনিধিসহ ৯ সদস্যর কমিটিকে সিন্ডিকেটের বিষয়ে তদন্ত করে ১৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
কমিটির সদস্যরা হলেন- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), পরিচালক (বাণিজ্য সংগঠন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়/যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (যুগ্ন সচিব পদমর্যাদার), পুলিশ মহাপরিদর্শক, বাংলাদেশ পুলিশ, পুলিশ হেডকোর্টাস এর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি (ডিআইজি পদমর্যাদার)।
মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি উপেক্ষা করে ১০টি এজেন্সির মাধ্যমে লোক নেওয়ার ঘটনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বঞ্চিত অপর ১০টি এজেন্সি হাইকোর্টে রিট করেছিল।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে জি টু জি প্লাস চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, কর্মী নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়া হয় অনলাইনে। এ কাজের জন্য সিনারফ্ল্যাক্স নামে একটি কোম্পানিকে নিয়োগ দেয় দেশটির সরকার। মালয়েশিয়ান কোম্পানি সিনারফ্ল্যাক্সের সঙ্গে বর্তমানে কর্মী পাঠানো ১০টি এজেন্সি জোট করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জুন ২৬,২০১৯
ইএস/জেডএস